সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
রূপালী স্বাস্থ্য।।
অল্প বয়সেই চুল পাকতে শুরু করলে মন তো একটু খারাপ হবেই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চুল পাকার পেছনে কোনো নির্দিষ্ট কারণ নেই। এটা বয়স বাড়ার একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আপনার জেনেটিকস একে খানিকটা নিয়ন্ত্রণ করে। মানে পরিবারের অন্যদেরও কম বয়সে চুল পাকার ইতিহাস থাকলে সেটাই হয়তো কারণ।
চুল আসলে সাদা হয়ে যায় না, বয়সের সঙ্গে চুলের গোড়া বা ফলিকল রং বা মেলানিন প্রস্তুত করার ক্ষমতা হারাতে থাকে। ফলে নতুন যে চুল গজায়, তা বর্ণহীন। সাধারণত ৩৫ বছরের পর থেকে অনেকেরই চুল একটু একটু করে রং হারাতে শুরু করে।
তবে কিছু কিছু রোগের কারণে অপেক্ষাকৃত কম বয়সে চুল সাদা হতে পারে। জেনে নিন সেগুলো কি-
# থাইরয়েডের সমস্যা।
# ভিটামিন বি ১২-এর অভাব।
# ভিটিলিগো বা শ্বেতী রোগ।
চুল পাকা সম্পর্কে আমাদের কিছু ভুল ধারণা আছে। যেমন স্ট্রেস বা মানসিক চাপ বেশি হলে চুল তাড়াতাড়ি পেকে যায়। এ ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়। তবে স্ট্রেসের কারণে টেলোজেন এফলুডিয়াম নামের একধরনের সমস্যা ঘটে যার ফলে চুল বেশি পড়ে। একে বলে অ্যালোপেসিয়া।
প্রচুর চুল পড়ে যাওয়ার পর যে নতুন চুল গজায় আবার তা বয়স বাড়ার কারণে একটু বর্ণহীন হতে পারে। আবার অনেকের ধারণা, চুলে নানা ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করলেও দ্রুত চুল পেকে যায়। এ ধারণাও ভুল। তবে ধূমপানের সঙ্গে চুল সাদা হওয়ার একটু সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
এ ছাড়া বাজারে অনেক ধরনের সাপ্লিমেন্ট বড়ি পাওয়া যায় যেগুলো চুল পাকা প্রতিরোধ করে বলে দাবি করে। এ ধরনের কোনো ভিটামিন বা খনিজ সাপ্লিমেন্টের কোনো ভূমিকা আছে বলে প্রমাণিত হয়নি। তবে দীর্ঘদিনের অপুষ্টি, বিশেষ করে আমিষের অভাব ও ভিটামিন বি ১২-এর অভাবে চুল সাদা হতে পারে। চুল সাদা হতে শুরু করলে মন খারাপ না করে একে গ্রহণ করে নেওয়াই ভালো।
ডা: কে.এম. জাহিদুল ইসলাম
এমবিবিএস(ঢাকা), বিসিএস (স্বাস্থ্য)
এমএস (অর্থোপেডিক সার্জারী) অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি হাসপাতাল) ঢাকা।